এক প্রেমিককে নিয়ে দুই তরুনীর টানাটানির অবসান হয়েছে। একজন ছাড় দেওয়ায় অপর মেয়েকে অবশেষে বিয়ে করছে ঝিনাইদহের সেই প্রেমিক শাহিন। রোববার রাতে প্রেমিকা রুনাকে বিয়ে করেন শাহিন। রাতে হরিণাকুন্ডু উপজেলর কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার আজিজুর রহমান মিনুর বাড়িতে রুনা ও শাহিনের বিবাহ হয়।
প্রেমিক শাহিন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের গাগান্না গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে শাহীন ও রুনা হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশাটিয়া ইউনিয়নের ঘোড়াগাছা গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
প্রতিবেশী ইফাজ উদ্দীন জানান, শনিবার বিকেলে পাশের গ্রামে থেকে রুনা খাতুন বিয়ের দাবিতে শাহিনের বাড়িতে আসে। রুনার আসার কথা শুনে সাদিয়া নামে আরেক মেয়ে সেও বিয়ের দাবীতে শাহিনের বাড়িতে আসে। এক শাহিনের বাড়িতে দুই মেয়ে বিয়ের দাবিতে আসায় ঝামেলায় পয়ে যায়। কাকে রেখে কার সাথে বিবাহ দিই এই নিয়ে দ্বীধায় পড়তে হয় সবার। পরে সাদিয়ার পরিবার, শাহিন সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া পর তারা সেচ্ছায় চলে যায়। পরে রুনার পরিবারের সমর্থনে শাহিন-রুনার বিবাহের সিদ্ধান্ত হয়। রাতে পাশের উপজেলার কাজীর বাড়িতে তাদের বিবাহ হয়।
প্রেমিক শাহিন জানান, সে প্রথমে রুনাকেই বিবাহ করতে চলেছিল। পরে সাদিয়া চলে আসায় তার সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হয়। পরে যখন সাদিয়া স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে চলে যায়। এরপর রুনাকে বিবাহ করতে আর কোন বাঁধা থাকে না। প্রেমিকা রুনা বলেন, আমি প্রথম থেকেই শাহিনকে ভালোবাসি। তাকেই বিবাহ করতে চলেছিলাম। পরে ওই মেয়ে এসে ঝামেলা করলে সমস্যার দেখা দেয়। ওই মেয়ে চলে যাওযায় তাদের দুজনের বিবাহের আর কোন বাঁধা ছিলোনা। আমি শাহিনকে বিবাহ করতে পেরে আমার ভালোবাসা ১০০ ভাগ খাটি বলে মনে করছি।