প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ২২, ২০২৪, ৬:৪৪ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৪, ২০২৪, ৭:০৯ পূর্বাহ্ণ
অসুস্থ আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩জনের মৃত্যু, আহত তিনজন
নিহতরা হলেন জুড়ী উপজেলার কুচাই ফাঁড়ি চা-বাগানের বাসিন্দা দীনবন্ধু মুন্ডা (৫৫) ও তার ছেলে পূজন মুন্ডা (৩৫) এবং দীনবন্ধুর বড় ভাই রবীন্দ্র মুন্ডা (৬০)। এ দুর্ঘটনায় গাড়ির চালক ও ওই পরিবারের দুই সদস্য আহত হন।
আহতরা বলেন, দীনবন্ধু মুন্ডার এক মেয়ের বিয়ে হয় শ্রীমঙ্গলের রাধানগর চা-বাগান এলাকায়। মেয়ের শাশুড়ি পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাকে দেখতেই দীনবন্ধু অটোরিকশা ভাড়া করে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রবিবার সকালে শ্রীমঙ্গলে রওনা দেন। বিকেলের দিকে তারা সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাতটার সময় আছুরিঘাট এলাকায় পৌঁছালে তারা ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়েন। এ সময় বিপরীতমুখী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে তাদের বহনকারী অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গাড়িটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে পূজন মুন্ডা ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
পরে স্থানীয় লোকজন গাড়ির ভেতরে আটকা পড়া হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় দীনবন্ধু, দীনবন্ধুর স্ত্রী কবিতা মুন্ডা, বড় ভাই গোপাল মুন্ডা, রবীন্দ্র মুন্ডা ও অটোরিকশাচালক আমির উদ্দিনকে মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে এবং আহত অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই পূজন মুন্ডার মৃত্যু হয়। মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রবীন্দ্র মুন্ডা এবং আহত অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দীনবন্ধু মুন্ডা মারা যান।
সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ ইং, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু মারমা। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। দুর্ঘটনার পর ঘাতক কাভার্ডভ্যানের চালক পালিয়ে গেছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত