দেখা যায়, মৌলভীবাজার জেলা সদর, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল এবং রাজনগর এই চার উপজেলার বিস্তৃত মাঠজুড়ে এখন সোনালি ধানের সমারোহ। এ বছর একাধিক বৈরী আবহাওয়ার পরও আউশের ভালো ফলনে এই চার উপজেলার কৃষকের মুখে মুচকি হাসি ফুটেছে।
কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এবারে ৯৮, ৪৮ এবং ৮২ ও ৮৫ উন্নত জাতের ধান চাষাবাদ করায় ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, প্রতি হেক্টরে উৎপাদন পাওয়া গেছে, ২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন। এ হিসাবে এ চার উপজেলা থেকে কম করে হলেও এবারে ৬০ হাজার মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। আর টাকার হিসেবে এ বছর প্রায় ২০ কোটি টাকার ধান পাওয়া যাবে।
আরো কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, বরাবরই এ জেলার বড়লেখা, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলায় আউশের ফলন তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। এ ছাড়া এ বছর দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবলে পড়ে এ তিন উপজেলা। এতে ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি এবং চাষাবাদও কম হয়। এসব প্রতিকূলতার পরও উল্লেখিত চার উপজেলায় আউশের ভালো ফলনে কৃষকরা খুশি।
সদর উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের বাড়ন্তি গ্রামের কৃষক আবু লেইছ বলেন, জমিতে গত বছরের চেয়ে ভালো ধান হয়েছে। এবার তিনি অন্তত ৮০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের রামনগর (বনবাড়ী) এলাকার কৃষক মোঃ শহিদ মিয়া বলেন, সবার দেখাদেখি তিনিও আউশ চাষ করেন। বন্যায় আক্রান্ত না হওয়ায় অন্যদের চেয়ে তার জমিতে ভালো ধান হয়েছে।
কৃষি বিভাগে মাঠকর্মী বিশ্বজিৎ বলেন, তার দেখা মতো সদর উপজেলায় ভালো আউশের ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে কৃষক ধান কাটাই মাড়াই শুরু করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোঃ সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শ আর সহায়তায় বৈরী পরিবেশের মধ্যেও আউশের ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, মৌলভীবাজার জেলায় ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে আউশের চাষাবাদ নির্ধারণ করা হলেও- উৎপাদন এক লাখ ৮২ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন চাল ধরা হয়েছে।
Leave a Reply