কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর মাদ্রাসা পাড়ার মৃত. ইদ্রিস মুন্সীর ছেলে মিলন মুন্সিকে মারপিট , তার দোকান ও বাড়ি ভাংচুর চালায় স্থানীয় প্রভাবশালীর আত্মিয়রা। এঘটনায় খাজানগর চাষিপাড়ার শাহজালাল হকের তিন ছেলে শাহিন, জামাল ও কামালসহ সাত জনকে আসামী করে চলতি মাসের ২রা মার্চ কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মিলন মুন্সি। কিন্তু গত ১৩ মার্চ পর্যন্ত সেই অভিযোগ মামলা এন্ট্রি হয়নি। এর মধ্যে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগী বিভিন্ন মহলে আইনের আশ্রয়ের জন্য সুপারিশ করলে ১৩ মার্চ কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের কথামত আবরও নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেন। সংবাদটি লেখা পর্যন্ত সেই অভিযোগও মামলা আকারে গ্রহন করেনি কুষ্টিয়া মডেল থানা। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগীরা। তিনি জানান, এক প্রভাবশালী নেতার কাছে জিম্মি পুরো খাজানগর এলাকা। ইতি পূর্বে ট্রাক চালক রুবেলকে পিটিয়ে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করে ঐ নেতার ভাই ও তার লোকজন। পরে অদৃশ্য প্রভাব বিস্তার করে সেই হত্যা আত্মহত্যায় পরিনত হয়ে যায়।
রুবেলের স্ত্রীর সাথে ঐ নেতার ভাইয়ের পরকীয়ার জেরেই পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে। প্রভাবশালী হওয়া ঐ নেতা গেল ইউপি নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে তথা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারপরও তিনিই নিয়ন্ত্রন করেন খাজানগর। ঐ নেতাই অদৃশ্য ক্ষমতা ব্যবহার করে থানাকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে অভিযোগের উপর প্রভাব বিস্তার করছে বলে মনে করেন ভুক্তভোগী।
তিনি আরও জানান, মামলা এন্ট্রিতো হয়নি বরং থানাতে বসে মিমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসার। আমার মত সাধারন মানুষ থানাতে এসে সঠিক বিচার না পাওয়ায় হতাশ আমি।
ভুক্তভোগীর কথার সত্যতা মিলেছে কুষ্টিয়া মডেল থানার এস আই কামরুজ্জামানের সাথে কথা হলে । তিনি প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগ ছিলো,ওরা ওসি স্যারের ওখানে গিয়েছিলো, ওসি স্যার বলছিল দুই পক্ষকে ডাকেন, ওমর ফারুক মিমাংসার জন্য ডাকছিলো ওরা বসে নাই ।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী মিলন মুন্সির বাড়ির পাশে একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে মিলন মুন্সির সাথে কয়েকজনার কথা কাটাকাটি হয়।তারই জের ধরে ভাংচুর হয়। মিলন মুন্সির সাথে যাদের ঝামেলা হয়েছিল তারা এলাকায় খুবই প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়। জনশ্রতি রয়েছে, ঐ নেতা আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড নেতা। সে এক সময় যুবদল করতো।এখন বিএনপি-জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের ব্লাকমেলিং করে আ’লীগ এর লেবাস পরে রয়েছে।এলাকাবাসীর ধারণা দুইটি কিশোরগ্যাং তার পরোক্ষ মদদে সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করে। সূত্র মনে করে, ঐ ইউনিয়ন বাসী যাতে সুযোগ পেলে আ’লীগের বিপক্ষে ভোট দেয় এমন ক্ষিপ্ত করে তুলেছে ঐ হাউব্রীড নেতা। যার প্রমান গেল ইউপি নির্বাচন। বটতৈল এ নৌকার ভরাডুবি। এলাকাবাসী জানান, শুধু খাজানগর নয় পুরো ইউনিয়নে ঐ নেতার কথায় চলে। অনেক ঘটনা তার ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। মিলন মুন্সির ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। দুইবার না হাজার বার অভিযোগ করলেও কোন লাভ হবে না।
এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এঘটনার কোন সত্যতা নেই। বিয়ের টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। কোন লুটপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।
Leave a Reply