বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ভ’ষনস্কুল সড়কে বিদ্যালয়ের গেটে ওই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ। মেয়র আশরাফ তার বক্তব্যে বলেন, এমপি আনার এই বিদ্যালয়টি শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ছিলেন। তাকে অপহরনকারী খুনীচক্ররা নির্মম ভাবে খুন করেছে বলে জানা যাচ্ছে। এখন তার অবর্তমানে বিদ্যালয়টি উন্নয়নের যাত্রা থেমে ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে। তিনি আরো বলেন, এমপি হত্যাকান্ডের সঠিক সুরাহা না হলে আগামীতে সকল কালীগঞ্জ বাসীকে নিয়ে জোরালো আন্দোলন করা হবে বলেও ঘোষনা দেন। এ সময়ে আরো বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস রুপালী, অধ্যক্ষ শাহী আলম ও সহকারী অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতাতে যান। এরপর ১৩ মে থেকে নিখোঁজের পর ২২ মে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধাননগরের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনে খুন হয়েছে বলে সংবাদ আসে। পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে ডিবি পুলিশের অভিযানে খুনীদের আটক ও তার লাশের টুকরা উদ্ধার হয়েছে বলেও প্রচার হয়। কিন্তু উদ্ধারকৃত টুকরা অংশ এমপি আনারের কিনা তা নিয়ে শংসয় দানা বাধে। এটি সুরাহার জন্যই সর্বশেষ এমপি কন্যা ডরিন পিতার খন্ডিত অংশের সাথে ডিএনএ টেষ্ট করার জন্য ঢাকাতে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়। তাই, এটি সম্পন্ন না হওয়া পর্ষন্ত মৃত্যু নিয়ে ধোয়াশা রয়েই যাচ্ছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই এমপির নির্বাচনী এলাকার মানুষের মুখে মুখে একই কথা ঘুরছে আসলেই তিনি কি মারা গেছেন, না নিখোজ রয়েছেন? অপরদিকে এমপির মৃত্যু নিয়ে এখনো চুড়ান্ত রিপোর্ট না হওয়াতে আওয়ামীলীগ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন অব্যহতভাবে কর্মসূচী চালাচ্ছে। ঝিনাইদহ-৪ আসনের টানা তিন বারের সংসদ সদস্য এমপি আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
Leave a Reply