পটুয়াখালীর বাউফলে বিদ্যালয় প্রধানের অবহেলায় বেল্লাল হোসেন (১৬) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে।
রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল ভবনের ছাদে এ ঘটনা ঘটে। বেল্লাল ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং দাসপাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের তাজউদ্দিন মৃধার ছেলে।
স্কুল শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশ ঘেষে অবৈধভাবে স্থানীয় বাবু মোল্লা নামের এক ব্যাক্তি ৩টি দোকান তৈরি করে ব্যাবসা করে আসছিলেন। ওই দোকানে ডিস লাইন স্থাপন করতে বিদ্যালয়ের ছাদে ডিস চ্যানেল আকাশ’র এন্টেনার স্থাপন করছিলেন। ঘটনার দিন দুপুর ১২টার দিকে একটি চিলে কোঠায় মই লাগিয়ে উপরে উঠে কাজ করছিলেন দোকানী ও ডিস মেকার। সেখানে মই রেখে তিনি চলে যান। দোকানীর রেখে যাওয়া তার যে কোনভাবে বিদ্যুতায়িত হয়। ক্লাশের ফাঁকে বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বেল্লাল ওই মই বেয়ে উপরে উঠেন। মইয়ের সাথে রাখা ডিসের তারে বিদ্যুতায়িত হয় সে পরে যায় বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা শব্দ পেয়ে ছাদে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। স্থানীয়দে অভিযোগ বিদ্যালয় ঘেষে দোকান তৈরি করা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। দোকানের সাথে প্রধান শিক্ষকের যোগসাজস রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার অনেক আগেই মারা গেছে। তার শরীরে ক্ষত রয়েছে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিন বলেন, বিদ্যালয়ের বাহিরের গেট ঘেষে বাবু মোল্লা তিনটি দোকান স্থাপন করে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন। আমাদের কোন অনুমতি না নিয়ে বিদ্যালয়ের ছাদে এন্টেনা স্থাপন করেছেন। ওই তার বিদ্যুতায়িত হয়ে বেল্লালের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যালয় দখল করে দোকান স্থাপনও অনুমতি বিহীন ছাদে এন্টেনা স্থাপন করার বিষয় শিক্ষাকর্মকর্তা বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছেন কিনা এমন প্রশ্নর জবাবে বলেন না আমরা তাদের কাউকে জানাইনি।
এবিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, বাউফল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তদন্ত করে অইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
Leave a Reply