বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মহসীন এর অভিযানে বীরগঞ্জ উপজেলার পৌর শহরের সাদ ক্লিনিক এবং দেশ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ রাতে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন পৌর শহরের ফিসারি মোড়ের সাদ ক্লিনিকে। এ ক্লিনিকে লাইসেন্স নাই, চিকিৎসক ও নার্স নাই, ল্যাব টেস্টে অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ, ডিউটিরত কোনো ডাক্তার না থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সাদ ক্লিনিক কে বন্ধ করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মহসীনের অভিযানে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি, মিলেছে নানান অনিয়ম। এরপর দেশ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মহসীন এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াই অপারেশন এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নাম দেখিয়ে ২৪ ঘন্টা রেখে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং পর্যাপ্ত নার্স না থাকায় ৭ দিনের মধ্যে সকল শর্ত পূরণ করার নির্দেশনা দেন। নিবন্ধন নবায়ন করে নেওয়ার পরামর্শও দেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মহসীন। এ সময় সিজারের ১ জন রোগী ৩ দিন থেকে ভর্তি ছিল।
শুধু লাইসেন্স কিংবা পরিবেশগত ছাড়পত্র নয়, অনুমোদন থাকা হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের নিয়োগপত্রও নেই। এমনকি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তালিকা না থাকা, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের লাইসেন্স, প্যাথলজিস্ট, রিপোর্ট প্রদানকারী চিকিৎসক ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের নামও নেই ক্লিনিকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডাঃ অমৃত সরকার, উপজেলা স্যানিটারী সহযোগী ইন্সপেক্টর সামিউল ইসলাম (এসআইটি) সহ আরো অনেকে।
বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মহসীন বলেন, কাগজপত্র না থাকায় ১টি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করা হয়েছে এবং দেশ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১ সপ্তাহ সময় বেধে দেওয়া হয়েছে সকল শর্ত পূরণ করে, ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
Leave a Reply