মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩০ অক্টবর) লৌহজং -তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদে সুবিধাভোগীদের মাঝে পণ্য বিতরণ করা হয়।
উপজেলায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পন্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান লিমা এন্টারপ্রাইজ প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেন তিনি সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট মূল্যে চাউল বিক্রি করার সময় ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হতদরিদ্র উপকারভোগীরা। এবিষয়ে রোববার ৩ই অক্টোবর দুপুরে একাধিক ব্যক্তি উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, লৌহজং তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ আওতাধীন ২৮৪ জন নারী- পুরুষ হতদরিদ্র উপকারভোগী টিসিবির পন্য গ্রহণ করে থাকে। গত ৩০অক্টোবর বিতরণকৃত ০২লিটার সয়াবিন তেল, ০২কেজি মসুর ডাল পরিমাপে ঠিক থাকলেও ০৫ কেজি চাউলে ওজনে পরিমাণে কম দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগী টিসিবি পন্য গ্রহণ করার পর পরিমাণে ঠিক আছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন মুদি দোকানে গিয়ে পরিমাপ করার চেষ্টা করে এতে তারা প্রতি ০৫ কেজি চাউলের প্যাকেটে ৪কেজি ৪০০গ্রাম পায়, এতে প্রতি ৫কেজি চালের মধ্যে ৬শত গ্রাম কম। এনিয়ে উপকারভোগী স্থানীয় এলাকাবাসী অনেকের কাছে তারা অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সুবিধাভোগীরা উপজেলা পরিষদে টিসিবির ডিলারের কাছ থেকে পণ্য নিতে আসলে সন্দেহ জনক পরিমাপ যন্ত্র দিয়ে পরিমাপ করলে দেখা যায় ৬ শত গ্ৰাম কম পাওয়া গেছে। একি ভাবে কয়েক জনের পন্য পরিমাপ করলে ৬ শত গ্ৰাম কম পাওয়া গেছে। সাথে সাথে লৌহজং উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) জানানো হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ টাকা দিয়ে জিনিস কিনব পরিমাপে কম কেন নেব। যেখানে বলা হয়েছে ৫ কেজি চাল ২ কেজি সোয়াবিন তৈল ও দুই কেজি মসুরের ডাল।
আরো জানাযায় লিমা এন্টারপ্রাইজ এর প্রতিনিধি মোঃ শাহাদাত হোসেন তিনি উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য বিতরণ করে থাকে এর মধ্যে রয়েছে কনকসার, লৌহজং- তেউটিয়া, গাঁওদিয়া ইউনিয়ন।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ কায়েসুর রহমান সরজমিনে এসে পরিমাণে কম দেওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত হন। তখন তিনি চাউলের পরিমাণ করে দেখেন ৫কেজি চাউলের প্যাকেটে ২৫০গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম চাউল কম রয়েছে।
লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিলার (লিমা এন্টারপ্রাইজ) প্রোঃ লিমা রহমান বলেন, আমার নামে ডিলারশিপ টা আনা হয়, আমি মহিলা মানুষ তাই আমার ভাই হাবিব ঢালীকে দিয়ে এই পণ্য বিতরণের কাজটা করাই। ইলেকট্রিক পরিমাপ যন্ত্রটি হাত থেকে পড়ে সমস্যা হয়েছে বলে মাপে কম হয়ে গেছে। আর এভাবেও আমাদের চালগুলো আনার সময় পরিমাপে কম পাওয়া যায়।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়েসুর রহমান বলেন, এই বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার কে বলেছি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।