মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে মো. সিফাত হাওলাদার (২৬) নামে এক যুবককে সশুরবাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। সে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের ধলাগাঁও গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে। নিহত সিফাতের ৯ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
শুক্রবার (০৯ নভেম্বর) রাত ৪টার দিকে উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের বনসেমন্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানাযায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শ্বশুর বাড়িতে আসেন। এবং রাত ৫টার দিকে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এলাকাবাসী ও পরিবরসূত্রে জানা গেছে, লৌহজং উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের বনসেমন্ত গ্রামের আনোয়ার কোতোয়ালের মেয়ে জান্নাতের সাথে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের ধলাগাঁও গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মো. সিফাত হাওলাদারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পূর্বে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে পারিবারিক ভাবেই বিয়ে হয় তাদের। আরোও জানা যায়, মৃত্যুর ঘটনার এক মাস আগে শশুর শাশুড়ি রেখে আলাদাভাবে সংসার করার জন্য স্ত্রী স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। পরবর্তীতে নিহত সিফাত স্ত্রী সন্তানকে দেখতে শশুরবাড়ি আসলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।
সংসার আলাদা করার জন্য তাদের পরিবারের মাধ্য ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে কোনও এক সময় শ্বশুরবাড়িতে রাতে কোনো এক সময় খাওয়া দাওয়া শেষে শুয়ে পড়লে সিফাত হাওলাদারকে রাতেই হত্যা করেছে বলে ছেলের পরিবারে অভিযোগ। ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করেন।
নিহতের বাবা আলমগীর হাওলাদার বলেন, আমার সুস্থ্য সবল ছেলে রাতে শশুর বাড়িতে যায়। ভোরে শুনি ছেলে আর নাই। আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। এর আগেও ছেলের বউ জান্নাত আমার ছেলেকে কয়েকবার মারধর করেছে। আমার ধারণা জান্নাত ও তার মা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া আমরা দুপক্ষের সাথে বসে কথা বলেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে হত্যা মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply