মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ শিমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বদলিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, আবিদা সুলতানা নামের একজন শিক্ষিকার প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলি হয়েছে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল। প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলির নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষক যোগদানের পর বদলি করা স্কুলে যোগদানের কথা থাকলেও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ২ সেপ্টেম্বর ২৪ইং তারিখে বেতকা স্কুলে যোগদান করেন আবিদা সুলতানা নামের শিক্ষিকা। এ বদলি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন একাধিক শিক্ষক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, এই বদলি অর্থের বিনিময়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কার্যকর করা হয়েছে। এই বদলির জন্য মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে।
বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি মনোয়ার শেখ বলেন, বিদ্যালয়ে ৫জন শিক্ষকের মধ্যে হঠাৎ করে ২জন শিক্ষক বদলির খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানতে পারি একজন শিক্ষক সরাসরি বদলি হলেও আরেকজন শিক্ষক প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলি হয়। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে অনিয়মের মাধ্যমে আবিদা সুলতানা নামের শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়। পরবর্তীতে আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলি। তিনি বলেন, আবিদা সুলতানা চলে গেছে সেটা তো জানিনা। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অবগতি ছাড়া একজন শিক্ষক কিভাবে বদলি হয় সেটাই আমার প্রশ্ন? হঠাৎ এভাবে শিক্ষক চলে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পূর্ণ পাঠদান হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ সিংহ বলেন, প্রথমে প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলি হয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী তাকে বদলি করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফেজা খাতুন বলেন, আবিদা সুলতানাকে প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে সরাসরি বদলি করা হয়। সরাসরি বদলির কাগজ পেয়েছেন কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন সেটা আমি পাইনি, ফাইলেও সরাসরি বদলির কাগজ পাওয়া যায়নি। তাহলে কিসের ভিত্তিতে বদলি করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখন আমি ছুটিতে ছিলাম।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টা বিস্তারিত জেনে আপনাকে জানাবো।
Leave a Reply